অফিস ব্যবস্থাপনাঃ ২০২২ সালের প্রশ্ন ও উত্তর

Jun 10, 2025
অফিস ব্যবস্থাপনাঃ ২০২২ সালের প্রশ্ন ও উত্তর








১ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ


(ক) - নোটাংশঃ নোটাংশ একটি ক্ষুদ্রতম ধারণা। এটি নোটের একটি নির্দিষ্ট অংশ। যখন একজন কর্মকর্তা কোনো চলমান নোটের উপর তার ব্যক্তিগত মন্তব্য, পরামর্শ, বা কোনো বিষয়ে তার চূড়ান্ত মতামত যুক্ত করেন, তখন সেই নির্দিষ্ট সংযোজনটিকেই নোটাংশ বলা হয়। নোটাংশ প্রায়শই পূর্ববর্তী নোট বা নোটাংশের প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেখা হয়। 

পক্ষান্তরে নোট একটি বিস্তৃত ধারণা। নোট বলতে নথির ওই অংশকে বোঝায়, যেখানে কোনো বিষয়বস্তুর ওপর কর্মকর্তারা নিজেদের মতামত, বিশ্লেষণ, সুপারিশ, সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা লিপিবদ্ধ করেন। নোটে একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যালোচনা করে এবং সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য ও যুক্তির একটি সমাহার।

(খ) - পত্রাদি ডায়েরিভুক্তকরণঃ সরকারি দপ্তরে যখন কোনো চিঠি, স্মারক, আবেদনপত্র বা অন্য কোনো সরকারি কাগজপত্র (যাকে সাধারণভাবে 'পত্রাদি' বলা হয়) আসে, তখন সেগুলোকে অফিসের রেকর্ড বইয়ে অথবা কম্পিউটার এর সিস্টেমে আনুষ্ঠানিক ভাবে লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকেই পত্রাদি ডায়েরিভুক্তকরণ বলে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো:

  1. রেকর্ড রাখা: কোন তারিখে, কোন দপ্তর থেকে, কী ধরনের চিঠি বা কাগজপত্র এসেছে, তার একটি স্থায়ী রেকর্ড তৈরি করা।
  2. অনুসরণ করা: যাতে পরবর্তীতে সহজেই খুঁজে বের করা যায় যে কোন চিঠি কোথায় আছে বা তার উপর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
  3. দায়বদ্ধতা: প্রতিটি চিঠির একটি ডায়েরি নম্বর থাকে, যা দিয়ে সেটির গতিবিধি ট্র্যাক করা যায় এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
  4. সহজভাবে বললে, যখন আপনার কাছে কোনো চিঠি আসে, আপনি যেমন সেটির একটি রেকর্ড রাখেন (যেমন, একটি খাতায় তারিখ দিয়ে লিখে রাখা), ঠিক তেমনি সরকারি অফিসগুলোতেও প্রতিটি ইনকামিং চিঠি বা কাগজের একটি আনুষ্ঠানিক রেকর্ড রাখা হয়। এই রেকর্ড রাখার প্রক্রিয়াকেই "পত্রাদি ডায়েরিভুক্তকরণ" বলা হয়।
(গ) - সরকারি পত্রঃ সরকার অথবা সরকারি দপ্তরগুলো নিজেদের মধ্যে বা অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, এমনকি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করার জন্য যেসব পত্র ব্যবহার করা হয় তাই সরকারি পত্র। সরকারি পত্র হলো এক ধরনের দাপ্তরিক চিঠি। এই পত্রগুলো নির্দিষ্ট ভাষা নিয়মকানুন বা কাঠামো মেনে তৈরি করা হয়। সরকারি পত্রের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানানো, তথ্য আদান-প্রদান করা, নির্দেশ দেওয়া, কোনো বিষয়ে জানতে চাওয়া বা তার উত্তর দেওয়া। এটি কোনো ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের মতো নয়। স্মারক, পরিপত্র, আদেশ, প্রজ্ঞাপন, বা কার্যালয় আদেশ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সরকারি পত্র হয়ে থাকে। সংক্ষেপে, সরকারি কাজকর্ম সঠিকভাবে চালানোর জন্য ব্যবহৃত সব আনুষ্ঠানিক লিখিত যোগাযোগই হলো সরকারি পত্র।
 
(ঘ) - বিজ্ঞপ্তিঃ যখন সরকার বা  সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত কোনো আদেশ, ঘোষণা, তথ্য বা সিদ্ধান্ত অধিক সংখ্যক জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজন পড়ে এবং তা আইনগত ও আনুষ্ঠানিকভাবে, বিশেষত গেজেট, সংবাদপত্র বা অন্যান্য সরকারি প্রকাশনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তখন তাকে 'বিজ্ঞপ্তি' বলা হয়।

ধরুন, সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকবে। এই সিদ্ধান্তটি জনসাধারণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে এবং এটি আইনত কার্যকর করতে হবে। এক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি "বিজ্ঞপ্তি" জারি করা হবে। এটি সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যা ব্যাপক জনসাধারণের জন্য প্রযোজ্য এবং এর আইনি কার্যকারিতা রয়েছে। এটি গেজেটে প্রকাশিত না হলে এর আইনি ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাবে।
 
(ঙ) - হাজিরা বহিঃ হাজিরা বহি হলো একটি নির্ধারিত রেজিস্টার বা খাতা। এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরবরাহ করা হয় এবং এর প্রধান কাজ হলো সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দৈনিক কর্মস্থলে উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির রেকর্ড রাখা। আধুনিক সময়ে এর পরিপূরক হিসেবে ইলেকট্রনিক হাজিরা পদ্ধতিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অফিসে উপস্থিত হবার নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইহাতে স্বাক্ষর করিবেন এবং ৩০ মিনিট এর মধ্যে তা উপসচিবের নিকট পেশ করিবেন। শিথিল সময়ের মধ্যে (সকাল ৯.১৫ হতে ৯.৪৫ = ৩০ মিনিট)  সকল কর্মীকে হাজিরা বহিতে স্বাক্ষর সম্পন্ন করতে হবে। শিথিল সময় অতিক্রমের পর কোন কর্মচারী হাজির হলে বিলম্ব সময়ের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করতে হবে। হাজিরা ব্যবস্থা আরো ইফেক্টিভ করার জন্য ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে হাজিরা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

(চ) - অনানুষ্ঠানিক নোটঃ মন্ত্রণালয় বা বিভাগসমূহ এবং সংযুক্ত দপ্তরের মধ্যে পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে নোট ব্যবহৃত হয় তাই অনানুষ্ঠানিক নোট। এই নোট সংশ্লিষ্ট নথিতে লিখিয়া প্রেরণ করতে হয়। যদি নোটটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, অর্থাৎ এর বিষয়বস্তু এতই সুস্পষ্ট যে এর জন্য মূল ফাইল বা অন্য কোনো সহায়ক নথির প্রয়োজন নেই, সেক্ষেত্রে এটি নথি ছাড়াও সরাসরি প্রেরণ করা যেতে পারে। অনানুষ্ঠানিক নোটের বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ

  1. অনাড়ম্বরতা: এটি আনুষ্ঠানিক চিঠি বা স্মারকের মতো কঠোর প্রোটোকল বা ফরম্যাট অনুসরণ করে না। এতে দাপ্তরিক নম্বর বা স্মারক নম্বর থাকে না।
  2. সংক্ষিপ্ততা: অনানুষ্ঠানিক নোট সাধারণত সংক্ষিপ্ত এবং সরাসরি মূল বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করে।
  3. দ্রুততা: এর প্রধান সুবিধা হলো দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করা, যা সময় বাঁচায়।

 

ক- বিভাগ


২ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ ডিজিটাল নথি নম্বর প্রদানের পদ্ধতি স্ববিস্তারে আলোচনা করুন।


ডিজিটাল কোড দ্বারা সমন্বিত পদ্ধতিঃ ডিজিটাল কোড দ্বারা সমন্বিত একটি আধুনিক পদ্ধতিই হলো ডিজিটাল নথি পদ্ধতি। ALBP 

নথির সুষ্ঠ সংরক্ষণ, বিতরণ ও গোপনীয়তা রক্ষাঃ বাংলাদেশ সরকার মূলত সরকারি নথির সুষ্ঠ সংরক্ষণ, বিতরণ ও গোপনীয়তা রক্ষার্থে ডিজিটাল নথি নম্বর পদ্ধতিটি প্রবর্তন করা হয়েছে। ALM

সাতটি ফুলস্টপসহ ১৮ টি ডিজিটঃ ডিজিটাল নথিতে মোট সাতটি ফুলস্টপসহ ১৮ টি ডিজিট থাকবে এবং ডিজিটগুলো পৃথক ০৭ টি নম্বরে বিভক্ত থাকবে। LNGR ডিজিটাল নথির কোড ভিত্তিক বিস্তারিত বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো-

১. মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কোডঃ  ডিজিটাল নথির শুরুতেই মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কোড বসবে। যা ০২ অংক বিশিষ্ট কোড। যদি কখনো নতুন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ সৃষ্টি হয় অথবা বিলুপ্ত হয় সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোড পরিবর্তন বা নতুন কোড বরাদ্দ করবে। ALM

২. সংযুক্ত দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা/বিভাগীয় কার্যালয় বা অন্যান্য অধিক্ষেত্র কোডঃ এটিও দুই ডিজিটের কোড। নথি নম্বরের ২য় অবস্থানে এটি বসবে। এর কোড নম্বর- ০১-৯৯ পর্যন্ত। নতুন কোন দপ্তর/অধিদপ্তর, সংস্থা বা কোন স্বায়ত্ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠান বিলূপ্ত কিংবা যুক্ত হলে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় কোড পরিবর্তন বা নতুন কোড সংযোজন বা বিয়োজন করবেন। CTBN

৩. জিওগ্রাফিক কোডঃ জিওগ্রাফিক কোড হলো একটি চার-অঙ্ক বিশিষ্ট কোড। প্রথম দুই অঙ্ক বা কোড দ্বারা জেলা পর্যায়ের অফিসকে বোঝায়। পরবর্তী দুই অঙ্ক বা কোড দ্বারা  উপজেলা পর্যায়ের অফিসকে বোঝায়। LNGRWIF

৪. শাখা বা অধস্তন প্রতিষ্ঠানের কোডঃ এটি ০৩ অংক বিশিষ্ট কোড। এটি নথি নম্বরের ৪র্থ অবস্থানে বসবে। প্রতিটি দপ্তরের নিদৃষ্ট শাখা নির্ধারণের জন্য এই কোড ব্যবহৃত হয়। এখানে শাখা বলতে নথি সৃষ্টিকারী ইউনিটকে বোঝানো হয়েছে। কোন দপ্তরের অধীনে একাধিক প্রতিষ্ঠান/শাখা থাকলে তখন এই কোড ধারাবাহিকভাবে বরাদ্দ করতে হবে। B-MEYA

৫. বিষয়ভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস কোডঃ এটি দুই অংক বিশিষ্ট কোড। এটি নথি নম্বরের ৫ম অবস্থানে বসিবে। নিজ নিজ দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন শাখা এই কোড নির্ধারণ করে সবাইকে  সরবরাহ/অবহিত করবেন।  COCELE  

৬. নথির ক্রমিক সংখ্যাঃ এটি ০৩ অংক বিশিষ্ট কোড। এটি ৬ষ্ঠ অবস্থানে বসবে। প্রতি বছরের শুরুতে বিষয়ভিত্তিকভাবে যে নথি খোলা হবে তা ০০১ ক্রমিক দিয়ে শূরু করতে হবে। পুরাতন বা বিনষ্ট কোন নথি নম্বর পুনরায় এখানে ব্যবহার করা যাবে না। ALMWF

৭. নথি খোলার সনঃ এটি ০২ অংক বিশিষ্ট কোড। এটি সর্বশেষ অর্থাত ৭ম অবস্থানে বসবে। সন এর শেষে ফুলস্টপ দিয়ে চিঠির জারি নম্বর ব্যবহার করতে হবে। তবে এটি মনে রাখা বাঞ্ছনীয় যে, এটি (জারি নম্বর) নথি নম্বরের কোন অংশ নয়। ALAMBMYA বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ডিজিটাল নথি নম্বরের কোন ঘর প্রযোজ্য না হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শূণ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে

৩ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ (ক): রেকর্ড কয় প্রকার? রেকর্ড এর শ্রেণী বিন্যাস আলোচনা করুন।

  1. সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রেকর্ডসমূহকে ০৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

    1. ক- শ্রেণীর রেকর্ড
    2. খ- শ্রেণীর রেকর্ড
    3. গ- শ্রেণীর রেকর্ড
    4. ঘ- শ্রেণীর রেকর্ড

    ক শ্রেণীর রেকর্ড- ক শ্রেণীর রেকর্ড মূলত স্থায়ী রেকর্ড SBDN। স্থায়ী মূল্যে অত্যাবশকীয় নথি এ শ্রেণীর আওতাভূক্ত। অন্যকোন রেকর্ড দ্বারা এই শ্রেণীর রেকর্ড পূরণীয় নয়। অর্থাত এগুলো অপুরণীয় রেকর্ড VBI । এগুলো অতিশয় যত্নের সহিত সংরক্ষণ করতে হয় এ জাতীয় রেকর্ডের উদাহরণ হলোঃ

    1. গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা ও আদেশ সম্পর্কিত নথি। RZN 
    2. বরাতসূত্র নির্দেশের ব্যাপারে প্রায় প্রয়োজন হতে পারে এরুপ নথি। bby
    3. গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এর নথি ও রাষ্ট্রীয় দলিল দস্তাবেজ। SKL

    খ শ্রেণীর রেকর্ড- খ শ্রেণীর রেকর্ড হলো অর্ধস্থায়ী রেকর্ড JLDUN। এগুলো স্থায়ীভাবে রেকর্ড করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাধারণত ১০ বছর বা তার বেশি VBI সময়ের জন্য এই জাতীয় রেকর্ড/নথি সংরক্ষিত হবে উদাহরণস্বরুপ-

    1. সরকারী কর্মচারীগণের সার্ভিস সংক্রান্ত রেকর্ড। (RHL)
    2. বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথি (RHL)
    3. বাজেট সংক্রান্ত নথি/রেকর্ড (RHL)
    4. সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশ সংক্রান্ত নথি (RHL)

    গ শ্রেণীর রেকর্ড- গ শ্রেণীর রেকর্ড হলো সাধারণ মানের রেকর্ড ALUDN। এ সকল নথিসমূহের উপযোগিত সীমিত। রেকর্ড হবার পর মাত্র কয়েক বছরের জন্য এগুলো প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত ০৩ থেকে ০৫ বছর VBI সময়ের জন্য এ সকল নথি/রেকর্ড সংরক্ষিত হবে। উদাহরণস্বরুপ-

    1. ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত নথি (HFJ)
    2. প্রশিক্ষন সংক্রান্ত নথি (HFJ)
    3. কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের বদলী সংক্রান্ত নথি (HFJ)

    ঘ- শ্রেণীর রেকর্ড- এ জাতীয় রেকর্ড অনেকটা মামুলি টাইপের নথি (NIZM)। সাধারণত ০১ বছর পর এসকল নথির আর কোন প্রয়োজনীতা থাকিবেনা। উদাহরণস্বরুপ

    1. দৈনন্দিন অফিস আদেশ ও বিজ্ঞপ্তি
    2. সাধারণ প্রশাসনিক চিঠিপত্র
    3. স্বল্পকালীন সভার কার্যবিবরণী
    4. অভ্যন্তরীণ স্মারকলিপি
    5. বিভিন্ন ধরনের সাময়িক প্রতিবেদন
    6. বিভিন্ন ধরনের ফরমায়েশপত্র বা বিল

    ৩ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ (খ)- রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ ও বিনষ্টকরণ পদ্ধতি আলোচনা করুন।

    বিনষ্টযোগ্য নথিসমূহের নিবন্ধন বহিঃ প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে "বিনষ্টযোগ্য নথিসমূহের নিবন্ধন বহি' পর্যালোচনা করিয়া সেই বছরের মধ্যেই বিনষ্টযোগ্য নথিসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করিবেন। SHRB 

    দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পেশঃ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিনষ্টযোগ্য নথিসমূহের তালিকাটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন। শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নথিসমূহ বিনষ্ট করিবার পূর্বে তালিকাটি ভালো করে পড়িয়া দেখিবেন। যদি কোনো নথি আরও কতিপয় দিবস রাখিতে হইবে বলিয়া বিবেচনা করেন তাহা হইলে কত দিবসের জন্য এবং কেন উহা সংরক্ষণে রাখিতে চান তাহা নিৰ্দেশপূর্বক লিখিত আদেশ প্রদান করিবেন। CCI

    সচিবালয়ের নথিপত্র সংরক্ষণাগারঃ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কোন কোন নথি সচিবালয়ের নথিপত্র সংরক্ষণাগারে যাবে প্রতিবছরের জানুয়ারি মাসে তাহার একটি তালিকা প্রস্তুত করিবেন। তালিকার একটি কপি শাখাতে রাখিবেন এবং অপর কপি সচিবালয় এর নথিপত্র সংরক্ষণাগারে প্রেরণ করিবেন। KRN

    নথি বিনষ্ট: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সকল নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিনষ্টের জন্য প্রস্তুত সকল 'গোপনীয়' ও 'বিশেষ গোপনীয়' এবং সাধারণ নথিসমূহ বিনষ্ট করতে হবে। বিনষ্টকৃত নথির নামের তালিকা স্থায়িভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে। RSTM

    নিলামে বিক্রয়: ব্যবহারের জন্য আর প্রয়োজন হইবে না এইরূপ সংবাদপত্র, সংকলন, প্রেস-কাটিং, মোড়কের কাগজপত্রন ইত্যাদি নিলামে বিক্রয় করিয়া ফেলিতে হইবে। বিনষ্টকৃত নথির নামের তালিকা স্থায়িভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে। RXNA

    ইলেকট্রনিক নথি বিনষ্টঃ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতেও নথি বিনষ্ট করতে হবে। নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিনষ্টযোগ্য নথিসমূহের তালিকা প্রস্তুত হইবে এবং তাহা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বিনষ্ট করিতে হইবে। এই প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করবে যে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি নির্ধারিত সময়ের আগে মুছে যাবে না এবং অপ্রয়োজনীয় নথিগুলি সময় মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত উপায়ে মুছে ফেলা হবে। BBU

    ০৪ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ আপনার কার্যালয়ে প্রাপ্ত পত্রাদি কিরুপে নিষ্পত্তি করিবেন? সচিবালয় নির্দেশমাল/২০২৪ এর আলোকে বর্ণনা করুন। rsdka

    ১. ডাক গ্রহণ ও প্রাথমিক নিবন্ধন: দপ্তরের নির্ধারিত শাখা কর্তৃক প্রাপ্ত সকল ডাক গ্রহণ করা হবে এবং প্রাপ্তির তারিখসহ অফিসের সিলমোহর প্রদান করে একটি ইনওয়ার্ড রেজিস্টারে প্রেরকের নাম, চিঠির বিষয়বস্তু এবং একটি ক্রমিক নম্বরসহ বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করা হবে। da

    ২. বন্ধ খামের বিশেষ ব্যবস্থাপনা: কোনো কর্মকর্তার নামে বন্ধ খামে পত্রাদি প্রাপ্ত হলে,  সেই খাম না খুলেই সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন বা পাঠাতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকলে, তার স্থলে যিনি সাময়িকভাবে কর্মরত থাকবেন, তার নামে তা প্রেরণ করতে হবে। di

    ৩. প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্তৃক প্রাক বাছাই ও বণ্টন: প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রাপ্ত সকল ডাক প্রাথমিকভাবে যাচাই করবেন এবং চিঠির বিষয়বস্তু ও কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে কোন শাখা বা নির্দিষ্ট কর্মকর্তার নিকট তা নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হবে, তা নির্ধারণ করবেন। bnplbromye

    ৪. নথিতে উপস্থাপন ও সিলমোহর প্রদান: নির্ধারিত শাখা ও কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য নথি (ফাইল) চিহ্নিত করে তার উপর প্রাপ্ত ডাকটি উপস্থাপন করা হবে। মূল পত্র হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি যত্নের সহিত স্ট্যাম্প দ্বারা সিলমোহর করা হবে। rsd

    ৫. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক পর্যালোচনা: সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তার অধীনস্থ সহকারী/সুপারভাইজার নথিসহ প্রাপ্ত পত্রাদি গ্রহণ করে এর বিষয়বস্তু ও গুরুত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করবেন। nrgs

    ৬. প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই ও সংগ্রহ: পর্যালোচনার সময়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রাসঙ্গিক পূর্ববর্তী নথি, আইন, বিধি বা পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত যাচাই করে প্রয়োজনীয় তথ্য বা রেফারেন্স সংগ্রহ করবেন, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপরিহার্য। iqb

    ৭. নোটশিটে মতামত ও প্রস্তাব লিপিবদ্ধকরণ: পর্যালোচনার পর, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নোটশিটে তার সুনির্দিষ্ট মতামত, প্রস্তাবিত পদক্ষেপ, প্রাসঙ্গিক বিধি-বিধানের উল্লেখ এবং প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করবেন। spn

    ৮. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন: যদি গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য দপ্তর প্রধান বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে নথিটি যথাযথ চ্যানেল অনুসরণ করে তাদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। tomn

    ৯. সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও বহির্গামী পত্র প্রস্তুত: ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর, গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। যদি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো নতুন চিঠি, স্মারক, আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করার প্রয়োজন হয়, তবে তা প্রস্তুত করা হবে। almn

    ১০. বহির্গামী রেজিস্টারে লিপিবদ্ধকরণ ও প্রেরণ: জারি করা প্রতিটি বহির্গামী চিঠির বিস্তারিত তথ্য (যেমন: প্রাপকের নাম, বিষয়, তারিখ, বহির্গামী নম্বর) একটি বহির্গামী ডাক রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এরপর ডাকশাখা বা নির্ধারিত ডেস্কের মাধ্যমে চিঠিগুলো প্রাপকের কাছে পাঠানো হবে। brobnpldlvi

    ১১. নথিতে চূড়ান্ত সংরক্ষণ ও শ্রেণিবিন্যাস: সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর, মূল চিঠি, নোটশিট এবং গৃহীত সিদ্ধান্তসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র যথাযথভাবে নথিতে (ফাইলে) চূড়ান্তভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। নথিগুলোকে তাদের গুরুত্ব, মেয়াদ এবং প্রকৃতি অনুযায়ী 'ক', 'খ', 'গ' এবং 'ঘ' - এই চারটি শ্রেণিতে শ্রেণীবদ্ধ করতে হবে। brcele

    ১২. বিনষ্টযোগ্য নথি চিহ্নিতকরণ ও তালিকা প্রস্তুত: 'ঘ' শ্রেণির নথিগুলো (যা সাধারণত মামুলি প্রকৃতির এবং ০১ বছর পর অপ্রয়োজনীয় হয়) এবং অন্যান্য মেয়াদোত্তীর্ণ নথিগুলোকে বিনষ্টের জন্য চিহ্নিত করা হবে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসব বিনষ্টযোগ্য নথির একটি বিস্তারিত তালিকা প্রস্তুত করবেন। rki

    ১৩. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক যাচাই ও লিখিত আদেশ: প্রস্তুতকৃত তালিকাটি সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পেশ করা হবে। তিনি নথিগুলো বিনষ্ট করার পূর্বে তালিকাটি ভালোভাবে পড়ে দেখবেন এবং প্রতিটি নথি পরীক্ষা করবেন। যদি তিনি কোনো নির্দিষ্ট নথি আরও কিছুদিনের জন্য রাখার প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে তিনি কতদিনের জন্য রাখবেন, তা নির্দেশপূর্বক লিখিত আদেশ প্রদান করবেন। symnds

    ১৪. নিরাপদ বিনষ্টকরণ ও রেকর্ড সংরক্ষণ: চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর, চিহ্নিত নথিগুলো নিরাপদে ও সতর্কতার সাথে ধ্বংস করা হবে (যেমন: কাগজ কেটে ফেলা - shredding), যাতে তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত না হয়। বিনষ্টকৃত নথির একটি বিস্তারিত রেকর্ড সংরক্ষণ করা হবে। nrgsbor

    ০৫ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ একজন শাখা কর্মকর্তা তার শাখা পরিদর্শনকালে কি কি বিষয়সমূহ পরিক্ষা করবেন? তার একটি তালিকা দিন।

    শাখা পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো সচিবালয় নির্দেশমালা ২০২৪ অনুযায়ী শাখার কার্যক্রমের মান ও কার্যকারিতা যাচাই করা। একজন শাখা কর্মকর্তা এই পরিদর্শনের মাধ্যমে শাখার দৈনন্দিন কাজ, কর্মপরিবেশ এবং নিয়মানুবর্তিতা পরীক্ষা করে থাকেন। এটি শাখার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা এবং ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন কর্মকর্তা তার শাখা পরিদর্শনকালে কি কি বিষয়সমূহ পরিক্ষা করবেন তার একটি তালিকা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।

    • সুষম কর্মবন্টন হয়েছে কিনা
    • সচিবালয় কর্তৃক নির্দেশিত সকল নির্দেশাবলী পালন হচ্ছে কিনা
    • কর্মচারীগণ তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত কিনা
    • স্থগিত থাকা কাজের সাথে বাস্তবতার মিল আছে কিনা
    • কোনো কাজ অযথা বিলম্ব অবস্থায় পড়ে আছে কিনা
    • ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ খতিয়ে দেখা
    • সচিবালয় নির্দেশিকা ও কার্য বিধিমালা প্রতিপালন হচ্ছে কিনা
    • গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহের নথি রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে কিনা
    • লেবেলসমূহের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা
    • নথিসমূহের শ্রেণীবিন্যাস, রেকর্ডভূক্তি ও সূচিকরণ করা হয়েছে কিনা
    • অপ্রয়োজনীয় নথি বাছাই ও বিনষ্টকরণ করা হয়েছে কিনা
    • তাগিদপত্র প্রেরণ পদ্ধতি কার্যকর কিনা
    • শাখা পরিদর্শন নিয়মিত হয় কিনা
    • মাসিক সভার কার্যক্রম
    • পূর্ববর্তী পরিদর্শন প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসরণ করা হয়েছে কিনা
    • স্টেশনারী দ্রব্যাদির অপচয় রোধ করা
    • নিবন্ধন বহির সাথে মজুতের পরিমাণ সঠিক আছে কিনা
    • কাজের পরিবেশ খতিয়ে দেখা
    • সরঞ্জামাদি সঠিকভাবে সাজানো আছে কিনা
    • অফিস প্রাঙ্গণ পরিপাটি আছে কিনা
    • নির্ধারিত ফর্মসমূহ হাতের নাগালে পাওয়া যায় কিনা
    • গার্ড ফাইল সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিনা
    • কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ আছে কিনা
    • কর্মচারীদের বেতন ভাতা সঠিক আছে কিনা
    • চাকরির রেকর্ড ও ছুটির হিসাব রাখা হয়েছে কিনা
    • অফিসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা
    • কর্মচারীদের কাজে মনোযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা
    • নগদ অর্থের লেনদেন ব্যবস্থা সন্তোষজনক কিনা
    • হিসাব নিয়মিত নিরীক্ষা করা হয় কিনা
    • ভাউচারসমূহ ও বেতনবহি নিরাপদ স্থানে রাখা হয় কিনা
    • পত্রাদি গ্রহণ ও বিলি করার পদ্ধতি সন্তোষজনক কিনা 
    • পত্র প্রেরণে বিলম্ব হয় কিনা
    • ডাকটিকিটের নিবন্ধন বহি যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও পরীক্ষা করা হয় কিনা
    • হাজিরা বহি নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় কিনা
    • অফিসের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা
    • নারী সহকর্মীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে কিনা
    • হাজিরা বহি (ম্যানুয়াল/ইলেকট্রনিক) নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে কিনা।
    • কর্মচারীগণ সময় মতো অফিসে আসছেন কিনা।
    • দেরিতে আসা কর্মচারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা।
    • ছুটির হিসাব হাজিরা বহিতে সঠিকভাবে রাখা হচ্ছে কিনা।
    • দপ্তরের সামগ্রিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিপাটি অবস্থা।
    • কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ অনুকূল আছে কিনা 
    • দাপ্তরিক আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের সদ্ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কিনা।
    • আসবাবপত্র বা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে থাকলে তা মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা।
    • শাখায় আসা ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা ফাইলসমূহের তালিকা।
    • কোনো ফাইল অযথা দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে আছে কিনা।
    • ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সচিবালয় নির্দেশিকা ও অন্যান্য বিধি-বিধান অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা।
    • গুরুত্বপূর্ণ/তাৎক্ষণিক ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে কিনা।
    • নথিগুলো সঠিকভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে কিনা।
    • নথির গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে কিনা।
    • কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা।
    • কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্তৃক খসড়া (ড্রাফট) প্রস্তুত এবং দাপ্তরিক পত্র লিখনে সচিবালয় নির্দেশিকা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা।
    • ভাষার স্পষ্টতা, নির্ভুল বানান ও ব্যাকরণ নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা।
    • শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজের সঠিক ও সুষম বন্টন হয়েছে কিনা।
    • কারও উপর অতিরিক্ত কাজের চাপ আছে কিনা অথবা কেউ কাজ ছাড়া বসে আছে কিনা।
    • শাখার জন্য নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে কতটা অগ্রগতি হয়েছে।
    • কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত আছেন কিনা।
    • শাখার দৈনন্দিন কাজের নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা আছে কিনা।
    • সাপ্তাহিক বা মাসিক কার্যবিবরণী নিয়মিত প্রস্তুত হচ্ছে কিনা।
    • শাখায় কোনো শূন্য পদ আছে কিনা এবং জনবলের ঘাটতি কাজের উপর প্রভাব ফেলছে কিনা।
    • ঘাটতি পূরণের জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে কিনা।
    • কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা।
    • প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে কিনা।
    • আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা (যদি শাখার নিজস্ব আর্থিক কার্যক্রম থাকে)।
    • ব্যয়ের রেকর্ড সঠিক রাখা হচ্ছে কিনা।
    • স্টেশনারি ও অন্যান্য দাপ্তরিক সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে কিনা।
    • এগুলোর সঠিক ব্যবহার ও অপচয় রোধ হচ্ছে কিনা।
    • ই-ফাইলিং ব্যবস্থা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা।
    • ই-ফাইলিং সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা।
    • কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কম্পিউটারের ব্যবহারিক জ্ঞান পর্যাপ্ত কিনা।
    • প্রয়োজনে তাদের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে কিনা।

    খ- বিভাগ


    ০৬ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ সরকারি অফিসসমূহের জন্য আগস্ট/২২ হতে কার্যকরকৃত নতুন সময়সূচি সম্বলিত প্রজ্ঞাপনটি আপনার কার্যালয়ের সকলের অবগতির জন্য পৃষ্টাঙ্কন করুন।


    ০৭ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ মেট্রোরেল প্রকল্পের ২০২১-২২ অর্থ বছরের হিসাব নিরীক্ষার কাজ বিগত সেপ্টেম্বর/২০২২ মাসে সম্পন্ন হয়। কিন্তু ১মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তাগিদপত্র প্রেরণের পরও নিরীক্ষিত প্রতিষ্ঠান থেকে কোন জবাব না আসায় বৈদেশিক সায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিপ্তর এর ডিজি র্কৃতক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বরাবর লিখিত পত্রের খসড়া প্রস্তুত করুন।


    ৮ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ আপনার কার্যালয়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অডিটরগণ যোগদান করেছেন। তাদের জন্য তিন দিনব্যাপী ইনহাউজ প্রশিক্ষন কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষন কোর্সটি আয়োজন এর বিষয়ে উল্লেখপূর্ক একটি পত্রের খসড়া প্রস্তুত করুন।

    মুল অংশে নিচের লেখাগুলো বা প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে লিখতে হবে।

    সম্প্রতি এই কার্যালয়ে যোগদান করা নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অডিটরদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দাপ্তরিক কার্যপ্রণালী সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে একটি তিন দিনব্যাপী ইনহাউজ প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সটি আগামী ২৫ জুন ২০২৫ থেকে ২৭ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর, আঞ্চলিক কার্যালয়, সেক্টর: ০৬, খুলনার প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রশিক্ষণে নিরীক্ষা পদ্ধতি, সরকারি আর্থিক বিধিমালা, দাপ্তরিক কার্যপদ্ধতি এবং আধুনিক নিরীক্ষা কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণের বিস্তারিত সময়সূচি অংশগ্রহণকারীদের পরবর্তীতে অবহিত করা হবে।সকল নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অডিটরগণকে নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

    ৯ নং প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ সদ্য সমাপ্ত পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প এর উপর একটি পারফর্মেন্স নিরীক্ষা পরিচালনার প্রয়োজণীয়তা উল্লেখপূর্বক সিএজি কার্যালয় বরাবর লিখিত পত্রের খসড়া প্রস্তুত করুন।

    Ussob | AN ONLINE SHOPPING PLATFORM WITH GREAT DEALS

    Ussob Bangladesh is a leading online shopping site based in Bangladesh that brings you great deals, with platforms existing across Asia including Singapore, Thailand, Indonesia, Vietnam, Philippines, and Taiwan. We offer unbeatable deals featuring an endless range of products priced at affordable rates. What is even better? We enhance your experience with the eCommerce Guarantee, which means your payment is held in our system and only released to the seller after you have received your purchase in good condition! All because we value you as our customer. What are you waiting for? Come aboard and start browsing!